বিয়ের সিদ্ধান্ত কেন নেবেন?

সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ একাকী থাকতে পারেনা। পরিবারবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। প্রতিটি ধর্মেই পরিবার গঠনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বংশধারা এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য পরিবার গঠন করতেই হবে আর পরিবার গঠনের জন্য অপরিহার্য বিয়ে। মানব জীবনে বিয়ে কেন প্রয়োজন তা নিয়েই আমাদের আজকের ব্লগ-

নতুন জীবনের সুচনা:

"আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে-" বিয়ের মাধ্যমে দুটি ভিন্ন মানুষ একে 

অপরের সাথে সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে একাত্ম হয়। তাদের মধ্যে জীবনব্যাপী দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। তারা শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বন্ধনে বাঁধা পড়ে।

জীবনে একাত্মতা আনে:

বিয়ের মধ্য দিয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষ তাদের 'আমিত্ব' ভুলে গিয়ে একটি দলে পরিণত হয়। দুজনে একসাথে তাদের সুখ- দুঃখ, ভালো লাগা- মন্দ লাগা ভাগাভাগি করে নেয়। জীবনে আসা সকল চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলা করে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।






সুখী করে:

বিয়ে নিয়ে অনেকপ্রকার নেতিবাচক হাস্যরস প্রচলিত আছে, যেমন- "পৃথিবীতে দুই ধরনের পুরুষ আছে। একদল জীবিত আর আরেকদল বিবাহিত! " কিন্তু এগুলো নিছক মজা করার জন্যই বলা হয়ে থাকে। বিয়ে নারী - পুরুষ উভয়ের 

জীবনেই স্হিতিশীলতা আনে। সামাজিকভাবে তাদের গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। দুজনেই সংসারে তাদের দ্বায়িত্ব বুঝে নেয় এবং সেই অনুযায়ী চলে। তাই তাদের অর্থনৈতিক দুঃশ্চিন্তায় থাকা লাগেনা।

আয়ু বৃদ্ধি করে:

বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে নারী -পুরুষ, উভয়ের সাথে আনন্দ -বেদনা শেয়ার করে চলে। উভয়ে পরস্পরের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখে। সুস্থ জীবন- যাপন নিশ্চিত করে। তাই দম্পতিদের গড় আয়ু ও বৃদ্ধি পায়। বিয়ের মাধ্যমে মানুষ নিজেদের জীবন এর বিষন্নতা, হতাশা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে। তাই বিয়ে মানসিক স্বাস্হ্যেরও উন্নতি করে থাকে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিনির্মাণ এ:

বিয়ে যে শুধু দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য গুরুত্বপুর্ন তা নয়। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও তা 

সমান গুরুত্ব বহন করে। যেসব শিশুরা তাদের বাবা মায়ের সাথে একটি সুস্থ পারিবারিক জীবন এ বড় হয়ে থাকে তারা ভবিষ্যৎ এ আত্মবিশ্বাসী ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে। আর  বিবাহ বহির্ভুত যেসব শিশুর জন্ম হয় তারা তাদের জন্মদাতা পিতা - মাতার অপরাধের কারণে দোষী না হয়েও সারাজীবন সমাজের চোখে নীচু হয়ে থাকে। হতাশা, দারিদ্র্যতা ও একাকিত্ব থেকে তারা একসময় অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।

তাই প্রাপ্তবয়স্ক হলে ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হলে অযথা সময়ক্ষেপণ না করে বিয়ে করুন, ভালো থাকুন।