বিয়ে একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া

 

বিয়ে একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। অনেক বাবা-মা আছেন, যারা পাত্রের অনেক বিত্ত- বৈভব বা খুব বনেদী পরিবারের ছেলে দেখলে তার সম্পর্কে  ভালোমত কোন খোজ খবর না করে, খুব তাড়াহুড়ো করে বিয়ে  দিয়ে দেন। যার কারনে বিবাহ পরবর্তী সময়ে দাম্পত্যকলহ থেকে শুরু করে বিবাহ বিচ্ছেদ ও হয়ে থাকে। তাই বিয়ের আগেই  হবু বর এর কিছু গুণাবলী যাচাই করে নেয়া উচিৎ। এর আগের ব্লগ এ কয়েকটি গুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল। আজ নতুন আরো কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা হলো-

সততা:  আপনার হবু বর এর কথার সাথে কাজের মিল আছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে। সে সৎ হলে আপনার কাছে কিছু লুকানোর চেষ্টা করবেনা। সে আপনাকে কখনো মিথ্যা তোষামোদ করার চেষ্টা  করবেনা। আপনার ভালো কে ভাল বলবে আর কোন কিছু খারাপ থাকলে তাও আপনাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলবে।

মতামত এর গুরুত্ব : সংসার জীবন এ চলার পথে ছোট বড় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একজন আদর্শ স্বামীর প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, সে যেকোন বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাইবে। সে বোঝে যে বিয়ের পর আপনাদের দুজনের জীবন যেহেতু একদিকে একসাথেই চলবে তাই আপনাদের দুইজন এর সম্মতিতেই যেকোন সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করতে হবে। অনেক পুরুষ ই আছে যারা মনে করে আমি সংসার এর প্রধান তাই আমার কথাই শেষ কথা।কিন্তু এমন ধরনের মনোভাব সংসার জীবন এ অশান্তির অন্যতম একটি কারন।

যত্নশীল : এই গুনটি যদি কোন পুরুষের মধ্যে থাকে তবে তাকে জীবনসঙ্গী হিসাবে পাওয়া যেকোনো নারীর কাছে  রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার। এরা স্ত্রী, সন্তান, আত্মিয় অনাত্মীয় সবার 

প্রতিই যত্নশীল হয়ে থাকেন।

সাহসী :  প্রতিটি নারীই স্বপ্ন দেখে  একজন সাহসী স্বামীর যে তাকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে।যে তাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে।অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারবে। 

পরিশ্রমী : একজন পরিশ্রমী পুরুষ স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একজন পুরুষ এর মধ্যে যতো গুণাবলী থাকুক না কেন, পরিশ্রমী না হলে সবই বৃথা হয়ে যায়।

পাশে থাকা:  একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আশা করেন তার সাহচর্য।  তাদের স্বামীই তাদের সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল। তারা চান যেকোন সমস্যায় তাদের পক্ষে তাদের জীবনসঙ্গীর সমর্থন।  কিন্তু খুব কম পুরুষই স্ত্রী এর এই প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেন। পারিবারিক 

যেকোন সমস্যায় স্ত্রীর পাশে দাড়ানোটাকে

অনেক পুরুষ দুর্বলতা মনে করেন। তাই বিপদে আপদে স্ত্রীর পাশে থাকার মানসিকতা আছে এমন পুরুষকেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়া উচিত।

 সর্বোপরি যে পুরুষ আপনার ভালো বন্ধু হতে

 পারবেন তেমন একজনকেই আপনার জীবনসঙ্গী করা উচিত।