বিয়ে নিয়ে বিখ্যাত মনীষীদের ভাবনা কী?

 

বিয়ে মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই জটিল বিষয় নিয়ে তাই গুরুগম্ভীর  আলোচনা-পর্যালোচনার শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে হাস্যরসপূর্ণ কথাও হয় প্রচুর।  অনেকের মতে, "বিয়ে হচ্ছে দিল্লীর লাড্ডুর মতো, যে খায়,সে তো পস্তায়ই, যে না খায় সে ও পস্তায়। তাই খেয়ে পস্তানোই ভালো। "এতো হলো, সাধারণ মানুষের মুখের কথা। কিন্তু বিখ্যাত গুণী মানুষেরা বিয়ে নিয়ে হাস্যরসে পরিপুূর্ণ  কি ভেবেছেন বা লিখে গিয়েছেন তা নিয়েই আমাদের আজকের ব্লগ -

 

 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে নিয়ে বলে গেছেন- " বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায়না।"

তিনি আরও বলেছেন- " মানুষের একটা বয়স আছে যখন সে চিন্তা না করিয়াও বিবাহ করিতে পারে। সে বয়স পেরোলে বিবাহ করিতে দুঃসাহসিকতার দরকার হয়।"

বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস এর মতে, " বিয়ের মাধ্যমে দুটো ব্যাপার ঘটে থাকে। এক হলো, যদি আপনি ভালো বউ পান তবে আপনি ভালো জীবন পাবেন আর যদি খারাপ বউ পান তবে দার্শনিক হয়ে যাবেন।"

জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্সটাইন বিয়ের ব্যাপারে বলে গিয়েছেন যে- " পুরুষ নারীদের বিয়ে করার সময় স্বপ্ন দেখে সে কখনো বদলাবেনা। আর নারীরা স্বপ্ন দেখে পুরুষটি বদলে যাবে। দুজনকেই হতাশ হতে হয়।"

হলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক উডি এ্যালেন এর মতে, " বিবাহের সাথে তিনটি রিং জড়িত। এনগেজমেন্ট রিং, ওয়েডিং রিং এবং সাফারিং বা ভোগান্তি। "

 তার আরো ধারণা, " বিয়ে  হচ্ছে প্রত্যাশার মৃত্যু। "

নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ এর মতে, " দুজনের মধ্যে যার ভালোবাসা কম, সেই সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে।"

 আমাদের প্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, " ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে, ভালোবাসা থাকেনা। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়তোবা ভালোবাসাটা থাকে। শুধু মানুষটাই থাকেনা। মানুষ এবং ভালোবাসার মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশী প্রিয়। "

গায়ক ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার ভাষ্যমতে," বিয়ের আগ পর্যন্ত পুরুষরা বুঝতে পারেনা সুখ আসলে কি?। যখন বুঝতে পারে তখন বড্ড দেরী হয়ে যায়।"

জনি কারসন মজা করে বলেছেন-" বিবাহিত পুরুষ অবিবাহিত পুরুষের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে।কিন্তু বিবাহিত পুরুষের মরার ইচছা বেশী। "

ব্লগটি শেষ করছি প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাস এর একটি উক্তি দিয়ে- " কোন পুরুষই রসগোল্লা না। তোমার বাবাও না, তোমার চাচাও না, তোমার জামাইও রসগোল্লা হবেনা।"

 প্রকৃতপক্ষে স্বামী - স্ত্রী উভয়েরই পরস্পরের প্রতি এক্সপেকটেশন বা প্রত্যাশা  যতো কম রাখা যায় ততোই মঙ্গল। তাহলেই বিবাহিত জীবন শান্তিময় হয়।