হাল আমলের বিয়ের সাজ।

আকাশ জুড়ে বেজে উঠল ঝড়ের জগঝম্প ঝাঁকড়া চুল উড়িয়ে।

ছিনতাইয়ের ভঙ্গিতে ছুটে এল

এক ঝাঁক হাওয়া

মেঘের আঁচলে টান মেরে বললে ওঠ ছুড়ি! তোর বিয়ে। 

-সেই গল্পটা

-পূর্ণেন্দু পত্রী

 

 একবিংশ শতাব্দীতে এসে কোন মেয়ের আর হঠাৎ করে বিয়ে হয়না। বিয়ে নিয়ে প্রতিটি মেয়ের মনেই অনেক স্বপ্ন থাকে। ছোট বেলা থেকেই 

মেয়েরা মায়ের শাড়ি, গহনা পড়ে বউ সাজে। তাদের বিয়ের দিন তাদের যেন সবচেয়ে সুন্দরি দেখতে লাগে সেই নিয়ে চেষ্টা অবিরত। হাল আমলের বিয়ের সাজ সজ্জা নিয়েই আমাদের আজকের ব্লগ -




আগেকার দিনে বউ সাজাতো পাড়া প্রতিবেশীরা। উচ্ছল তরুণীটিও সেদিন শান্ত জবুথুবু হয়ে বসে থাকতো। তার সাজ নিয়ে তার মতের কোন দাম ছিলোনা। প্রতিবেশী তরুণীরা যেভাবে সাজাতো সেভাবেই সাজতে হতো। লাল বেনারসি গায়ে জড়িয়ে সে যেত তার শ্বশুরবাড়ী।

বর্তমানকালে বিয়ের কথাবার্তা শুরু হবার পরেই সাজসজ্জার পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়।

অনেকসময় পাত্রী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মিলে বিয়ের শাড়ি পছন্দ করে কিনে থাকে।

বিয়ের সবচেয়ে রঙিন অনুষ্ঠান হচ্ছে গায়ে হলুদ। দেশীয় হলুদ জামদানী অথবা মনিপুরী শাড়ি হলুদের অনুষ্ঠানে কনের প্রথম পছন্দ। 

আগেকার ভারী লাল বেনারসি শাড়ি এখন অনেকেই এভয়েড করে। অনেকেই এখন বিয়ের দিনে লাল রঙ এর জমকালো লেহেঙ্গা পড়ছে।  আমাদের দেশীয় দামী  জামদানী শাড়িও আছে বিয়ের শাড়ি হিসেবে অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। আর বৌভাত এ পড়ছে নানা রঙ এর  তুলনামূলক কম ভারী শাড়ি। 

ভারী মেকআপ এর পরিবর্তে হালকা ন্যাচারাল লুকেই সাজছে আধুনিক কালের মেয়েরা। সেই সাথে পড়ছে আধুনিক ডিজাইনের জমকালো সোনার গহনা।

বিয়ের শাড়ি গহনা যতোই সুন্দর হোক না কেন কনের ত্বক সুন্দর না থাকলে পুরো সাজটাই মাটি হয়ে যায়। তাই অনেক হবু কনেই বিয়ের এক দেড় মাস আগে থেকে ডায়েটিশিয়ান এর সাথে পরামর্শ করে হেলদি ডায়েট অনুসরণ করে থাকে। সেই সাথে একটি ভালো বিউটি পার্লার  এ বুকিং ও এক থেকে দেড় মাস আগে নিয়ে রাখা জরুরি। 

সমস্ত প্রচেষ্টা তখনই সার্থক হয় যখন বিয়েতে আগত সকল অতিথিরা বউ এর সাজসজ্জার 

প্রশংসা করে। বিয়ের দিনে প্রতিটি মেয়েকেই যেনো বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী মনে হয়। এই দিনেই প্রতিটি বাবার রাজকন্যা পরিণত হয় স্বামীর ঘরের রাণীতে।