বিবাহের উপযুক্ত সময়

বিবাহ করতে হবে এটা ঠিক, কিন্তু আমরা কি জানি আসলে কোন সময়ে বিবাহ আমার জন্য উপযুক্ত ? ইসলাম কি বলে, ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সের কথা বলেনি।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য।কেননা বিবাহ হচ্ছে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী।আর যার সামর্থ নেই সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।(বুখারী ৫০৬৫;মুসলিম ১৪০০)

ইসলামের দৃষ্টিতে সাবালক/সাবালিকা এবং সামর্থবান হলেই বিয়ে করে নেওয়া উত্তম।কিন্তু সমাজ, রাষ্ট্রে দিকে তাকালে আইনানুগভাবে ছেলে এবং মেয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়স ঠিক করা আছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮।উক্ত বয়স বিবেচনায় আনলে অনেক ক্ষেত্রে কোন ছেলে বা মেয়ে উক্ত বয়সে মানসিকভাবে পরিণত হতে পারে আবার নাও হতে পারে।তাই এর জন্য লক্ষ্যনীয় বিয়ের জন্য সে কতটুকু প্রস্তুত, বিয়ে মানেই নতুনভাবে একটি দায়িত্ব নেওয়া এবং নতূন পরিবেশের সঙ্গে সে কতটুকু খাপ খাইয়ে নিতে পারবে এই বিষয়গুলো বিশেষভাবে বিবেচ্য।শুধু তা-ই নয় সংগী নির্বাচনও একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়।দ্বীনদার এবং বংশ দেখে বিয়ে করা।মোট কথা আমাকে সাবালক এবং সামর্থবান হতে হবে।মানসিক ও শাররীকভাবে প্রস্তত হতে হবে, অবশ্য সেটা বয়সের সংঙ্গে সর্দস্য রেখে।এই অবস্থাতে বিয়ে করে নেওয়া উত্তম নচেৎ চরিত্রহীন, ব্যভিচারী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি যা জীবনকে করে তুলবে তিক্তময়।

রাসুলুল্লাহ বলেছেন বিয়ে হচ্ছে অর্ধেক ঈমান।অবিবাহিত থেকে অনেক নেক কাজ করলেও ঈমান পরিপূর্ণ করার মর্যাদা লাভ করে না।এজন্য বিয়ে এবং ঘর-সংসারের দায়িত্ব পালন একটি পরিপূণূ ঈমানের জন্য গুরত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আমাদের মধ্যে যাদের সামর্থ আছে কালবিলম্ব না করে অতি দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে নেওয়া উচিত।