ডিভোর্স বা বিবাহ-বিচ্ছেদ

আমরা রাতে ঘুমানোর আগে চিন্তা করি আগামীকাল কি কি করবো। কখনও কি ভেবে দেখেছি আমি যা যা চিন্তা করেছি আগামীকালটা আমার সেই ভাবেই কেটেছে। মোটেই না, কখনই আমার প্ল্যানমত আগামীকালটা কাটেনি। একটু হলেও এদিক-সেদিক হয়েছে।এর মানে কি? আসলে কোন কিছুই আমার ইচ্ছেমত হয়না। যা কিছু হয় মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছেতেই হয়।

এই যে ধরুন বিয়ে হয় তারপর আবার অনেকের ক্ষেত্রে ডিভোর্স হয়ে যায়। আমি কি কখনও ভেবেছি যাকে আমি মন থেকে পছন্দ করে বিয়ে করেছি তার সাথে আবার ডিভোর্স হয়ে যাবে। কিন্তু তারপরও ডিভোর্স হয়ে যায়।সঙ্গী-সঙ্গীনির প্রতি আস্থা কমে যাওয়া, বিশ্বাস ভঙ্গ, মতের অমিল মূলত এ কারন গুলোই একজন মানুষকে বিবাহ-বিচ্ছেদের দিকে তাড়িত করে। একজন ভাল বন্ধু বা সঙ্গী সে-ই হতে পারে যার সঙ্গে আপনার পছন্দগুলোর মিল থাকবে, আপনার ধারনার সাথে তার ধারনা মিলে যাবে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বিরাজ করবে। বিয়ের আগে এই ব্যাপারগুলো একটু হলেও যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।হুট করে বা তাড়াহুড়ো করে শুধু বিয়েই নয় কোন কাজই করা ঠিক নয়।দেখা যায় সবকিছু ঠিকঠাকমত করার পরও বিবাহ-বিচ্ছেদের মত দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।

যাহোক ডিভোর্স বা বিবাহ-বিচ্ছেদ যেকোন কারনেই হতে পারে।এটাকে অনান্য একটি দূর্ঘটনার মতই একটি দূর্ঘটনা মনে করুন।নিজেকে পুনরায় গুছিয়ে নিন। আপনার জীবনসঙ্গীর ভূলগুলো ধরার আগে নিজের ভুলগুলো খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন। নতুনভাবে স্বপ্ন দেখুন নতুনভাবে জীবন শুরু করুন। আর নিজের মনকে শান্ত করুন এইভেবে আসলে কোন কিছুই আমার ইচ্ছেমত হয়না, যা কিছু হয় মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছেতেই হয়। কোন কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। ডিভোর্সের পর নতুনভাবে কোন জীবন সঙ্গীর সাথে আবদ্ধ হওয়া দেখা যেতে পারে এটা আপনার জীবনের মোড় পাল্টে দিয়েছে।ঠিক যেই মূহুর্তে আমরা আল্লাহকে ভুলে যাই তখনই আমরা বিপদগামী হই।প্রচন্ড বিপদের সময়ও শান্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব যদি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হই। আমি আবার নতুনভাবে শুরু করতে পারবো কিনা, নতুনভাবে আবার জীবনসঙ্গী নির্বচন করবো কিনা, আবার সমস্যা সৃষ্টি হবে কিনা, এই চিন্তাগুলো আপনার জন্য শান্তি বয়ে আনবেনা বরং অশান্তি দিন দিন চলমান হবে।তাই সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া উচিত।আপনার জীবনের গতিপথ অনেক ভাবেই বাধাগ্রস্থ হবে, এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু সবকিছুর পরও একটা সত্যিকরের ভালবাসার গল্প আপনার জীবনে হতে পারে।আর সেটাই হবে আপন��র জীবনের স্বার্থকতা। এমনভাবে আপনাকে গড়ে তুলুন যারা আপনাকে চেনে তারা যেন আপনাকে দেখে অনুপ্রানিত হয়।